নিজস্ব প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ছাবিনা আক্তার পান্না (২৮) নামে এক গৃহবধূ প্রতিবেশির কোদালের আঘাতে মারা গেছেন। বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার নবীগঞ্জ শান্তিরবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাবিনা আক্তার পান্না ওই এলাকার রাজীব মিয়ার স্ত্রী ও এক কণ্যা সন্তানের জননী। অভিযুক্ত প্রতিবেশি আব্দুর রহমান পার্শ্ববর্তী মোশারফ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।
স্থানীয়রা জানান, শান্তিরবাগ এলাকার টি হোসেন গার্ডেন সংলগ্ন মো. রাজিব মিয়া ও নিহত ছাবিনা আক্তার পান্নার চার বছরের কন্যা শিশু রোজামনি সহ অন্যান্য শিশুরা পার্শ্ববর্তী মোশারফ মিয়ার বাড়িতে খেলাধুলা করছিল। এতে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুর রহমানের ঘুম ভেঙে যায়। ফলে তিনি উত্তেজিত হয়ে শিশুদের উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ শুরু করে। এ সময় ছাবিনা আক্তার পান্না এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গে আব্দুর রহমান তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আব্দুর রহমান কোদাল দিয়ে গৃহবধূর মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থালে তিনি মারা যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া বন্দর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সামাদ মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের সুরতহাল প্রস্তুত করে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে ভাড়াটিয়া আব্দুর রহমান পালিয়ে গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বাচ্চাদের খেলাধুলা নিয়ে দুপক্ষ তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে রাগান্নিত হয়ে কোদাল দিয়ে কোপ দিলে ওই নারী মারা যায়। এই ঘটনায় মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।