স্টাফ রিপোর্টার :
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ট্রেন চলাচল সাত মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। রেললাইনের উন্নয়ন কাজের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার যাত্রী।
নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য এ রুটে রেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সেতুর রেল সংযোগ সড়কের কাজ শেষ দিকে রয়েছে। তবে কবে নাগাদ নারায়ণগঞ্জ রুটে রেলওয়ে সার্ভিসটি চালু করা হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, এই রুটে ট্রেন সার্ভিস এখনো চালু হয়নি। স্টেশনের চিরচেনা সেই ভিড় যেন ফিকে পড়েছে। স্টেশনের প্লাটফর্মে গুটি কয়েক লোক বসে বসে অবসর সময় পার করছে। তবে চা-পান সহ ভ্যারাইটিজ আইটেমের দোকানগুলো সচল রয়েছে। দোকানে আগের তুলনায় ক্রেতা অনেকাংশে কমেছে। তবে ট্রেন সার্ভিস বন্ধ থাকলেও এখনো মাঝে মাঝে অনেক যাত্রী এসে ট্রেনের খোঁজ করেন।
ট্রেনে করে কমলাপুর যাওয়ার জন্য মুন্সিগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জ এসেছেন সুমিত সরকার। তিনি বলেন, ‘ ট্রেন সার্ভিস বন্ধ হয়েছে এটা জানা ছিলনা। ট্রেন সার্ভিস বন্ধ থাকায় বাসে করে ঢাকা যেতে হবে। তবে বাস ভাড়া চার গুণ বেশি। বাসের জন প্রতি ভাড়া ৫৫ টাকা, যেখানে ট্রেনের ভাড়া মাত্র ১৫ টাকা। এছাড়া বাসে যেতে হলে যানজটের ভোগান্তি রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, কম ভাড়া ও সময় সাশ্রয়ের ফলে এ বাহনকে বেছে নিয়েছে যাত্রীদের একটা বড় অংশ। সেই যাত্রীদের বিশাল অংশ এবার বাসে ও বিভিন্ন পরিবহনের করে যেতে হবে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের যাত্রীরা সাধারণত ট্রেন সার্ভিস গ্রহণ করে থাকে। ফলে এই যাত্রীদের ৪ গুণ ভাড়া বেশি গুণতে হচ্ছে। এছাড়া প্রতি ঈদে নারায়ণগঞ্জ থেকে ট্রেনে করে দৈনিক প্রায় ৪০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকে।
নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার কামরুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ কাজের জন্য এই সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। সংযোগ সড়কের কাজ শেষ দিকে রয়েছে। আশা করছি, খুব শিঘ্রই নারায়ণগঞ্জ ট্রেন সার্ভিস চালু হবে। তবে কবে নাগাদ ট্রেন চালু হবে তা আমাদের জানা নাই। প্রতিদিন এই রুটে ৮টি করে মোট ১৬টি ট্রেন চলাচল করতো। সে হিসেবে দৈনিক ৮ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতো।