শহর প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জে প্রকাশ্যে মহানগর যুবদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে লাঠিসোটা হাতে নিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া মোড়ে এক পক্ষের কর্মীকে প্রকাশ্যে সড়কে ফেলে মারধর করে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা। এই মারধরের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
আগামী ২২ জুলাই ঢাকা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশকে ঘিরে সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেলে দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় চাষাঢ়া ও কিল্লারপুর এলাকার নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে অপু গ্রুপের সাব্বির আহম্মেদ হৃদয়সহ ৫ জন আহত হয়।
জানা যায়, ঢাকায় তারুণ্যে সমাবেশ সফল করার লক্ষে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাগরের নেতৃত্বে শহরের খানপুর হাসপাতাল মোড় থেকে লিফলেট বিতরণ শুরু করে মহানগর যুবদল।
এ সময় লিফলেট বিতরণে প্রথম সারিতে দাঁড়ানো নিয়ে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ অপুকে ধাক্কা দেয় মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তুর সমর্থক শহিদুল্লাহ ও তার অনুসারীরা। এতে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা সৃষ্টি হলে লিফলেট বিতরণে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। ওই সময় অপুকে জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিনের লোক বলে এখানে থাকার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন মন্তুর লোকজন। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের শান্ত করে পুনরায় লিফলেট বিতরণ শুরু করে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন।
পরে মহানগর যুবদলের শহিদুল্লাহ ও তার সমর্থকরা চাষাঢ়া শহীদ জিয়া হলের সামনে অবস্থান নেয়। এতে শেখ অপু ও তার সমর্থকরা সিদ্ধিরগঞ্জ ফেরার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার সময় আকস্মিকভাবে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এতে শেখ অপু ও তার ছোট ভাই সাব্বির আহম্মেদ হৃদয়সহ ৫-৬ জন নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে তাদের রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়।
এদিকে শেখ অপু বলেন, আমাকে হত্যা করার জন্য ওরা হামলা চালিয়েছে। মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাউদ্দিন মন্তুর সমর্থক শহিদুল্লাহ নেতৃত্বে ২০-২৫ জন এ হামলা চালায়। এতে আমাকে পেছন থেকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে শহিদুল্লাহ। পরে আমাকে আমার সমর্থকরা সরিয়ে নিলেও আমার ছোট ভাইকে রাস্তায় ফেলে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সে এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমাদের অনেক আহতদের সিদ্ধিরগঞ্জ ফেরার পথে কিল্লারপুরে পুনরায় হামলা চালিয়ে আবার আহত করেছে মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল গ্রুপের নেতাকর্মীরা।