ফতুল্লা প্রতিনিধি:
ফতুল্লার মাসদাইরে অপহরণ করে মুক্তিপন আদায়ের অভিযোগে অপহরনকারীচক্রের দুই সদস্য কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।একই সাথে অপহরনকারী চক্রের কবল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত কিশোর আবু সাঈদ মোনা(১২) ও লিমন (১৩) কে।
মোনা ফতুল্লার বিসিকস্থ একটি এম্ব্রোডারী কারখানায় এবং লিমন একটি গার্মেন্টসে কাজ করে।
বৃহস্পতিবার রাতে মাসদাইর পাকাপুলস্থ সিদ্দিকের পুকুর কলোনীর মাঠ থেকে অপহৃত দুই কিশোর কে উদ্ধার সহ গ্রেফতার করা হয় রনি ও খলিল নামের দুই অপহরনকারী কে। তবে এসময় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় কাউছার,আরমান,মোক্তার সহ অজ্ঞাতনামা অপহরনকারীচক্রের আরো ৪-৫ সদস্য।
গ্রেফতারকৃত রনি(২২) ফতুল্লা মডেল থানার পশ্চিম মাসদাইর প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন ভুট্রোর বাড়ীর ভাড়াটিয়া আবুল কাশেমের পুত্র ও মোঃ খলিল(২২) মাসদাইর পাকাপুল এলাকার আবুল হোসেনের পুত্র।
এ বিষয়ে উদ্ধার হওয়া কিশোর আবু সাঈদ মোনার বাবা মজিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, বাদীর পুত্র অপহৃত কিশোর আব সাঈদ মোনা ও লিমন বৃহস্পতিবার দুপুরে বাসায় এসে খাবার খেয়ে মাসদাইর ছোট কবরস্থানস্থ বাসা থেকে নিজ নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বের হয়। দুপুর পৌনে দুইটার দিকে তারা পশ্চিম মাসদাইরস্থ বিসিক ৩ নং গেইট সংলগ্ন পাঁচ তলার মোড় পৌছা মাত্র রনি, খলিল, কাউছার,আরমান,মোক্তার সহ অজ্ঞাতনামা অপহরনকারীচক্রের আরো ৪-৫ মোনা ও সাঈদ কে কৌশলে মাসদাইর পাকাপুলস্থ সিদ্দিকের পুকুর কলোনীর মাঠে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে শারিরীক ভাবে নির্যাতন করে এবং মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। এক পর্যায়ে বাদীর পুত্র মোনার ফোন থেকে বাদী কে ফোন করে মুক্তিপন হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। বাদী তখন অপহরনকারী চক্রের সদস্যদের কিছু টাকা প্রদানের কথা স্বীকার করে। তখন অপহরনকারীদের দেওয়া একটি বিকাশ নাম্বারে বাদী ৩৯২০ টাকা প্রদান করে। বিষয়টি পুলিশ কে অবগত করে। রাত সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশ বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে বিকাশের দোকানের সামনে অবস্থান করার সময় টাকা উত্তোলন করতে এলে রনি নামের এক অপরহনকারী কে আটক করে। তার স্বীকারোক্তিমোতাবেক মাসদাইর পাকাপুলস্থ সিদ্দিকের পুকুর কলোনীর মাঠে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অপহৃত দুই কিশোর কে উদ্ধার সহ লিমন নামের একজনকে গ্রেফতার করে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়
অপহরনকারীচক্রের অপর সদস্যরা।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক মহসীন জানান,মামলা হয়েছে। অপহরনকারী চক্রের পলাতক অপী আসামীদের গ্রেফতারের চেস্টা করছে পুলিশ।